বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। মির্জা ফখরুলের এমন কথার পর হাসির রোল বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ সকলেই জানে শুধুমাত্র আওয়ামী সরকারের আমলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব। সঙ্গে দেশের মানুষ এও জানেন, মির্জা ফখরুল এমন কথা বলছেন শুধুমাত্র বিএনপিতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে। এ কারণে ১৭ জুলাই মির্জা ফখরুলের এমন কথার পর দলের অনেকেই অগোচরে তাকে বেকুব বলে সম্বোধন করেন।
[মির্জা ফখরুল একজন জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষ হয়েও নিজের গদি বাঁচাতে যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, এটি তার মতো নেতার মুখে মানায় না–মির্জা আব্বাস]
এ প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, মির্জা ফখরুল একজন জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষ হয়েও নিজের গদি বাঁচাতে যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, এটি তার মতো নেতার মুখে মানায় না। এর আগেও তিনি গদি বাঁচাতে গিয়ে তারেক রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলেছিলেন। শুধু তাই না, তিনি খালেদাপুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোকেও মুক্তিযোদ্ধা বলে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
- বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ইতিহাস সৃষ্টিকারী বছর ২০২২ সাল
- যে কারণে পদ্মা সেতুকে ‘দ্য লোয়েস্ট কস্ট ব্রিজ’ বলছেন বিশ্বসেরা প্রকৌশলীরা
- জনগণের চাপে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক পরিষ্কার না করলেও এবার বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো- জামায়াতকে তাদের দরকার
এদিকে রাজনীতিবিদরা ফখরুলের এমন বক্তব্যকে বিএনপিতে টিকে থাকার সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন। কারণ বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলে টিকে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতাদের তোষামোদি করতে হয়। তাই তিনি খালেদা জিয়াকেও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ফেলেছিলেন।
[মির্জা ফখরুল একজন জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষ হয়েও নিজের গদি বাঁচাতে যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, এটি তার মতো নেতার মুখে মানায় না–মির্জা আব্বাস]
এছাড়াও মির্জা ফখরুলের অনেক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করেছে তিনি তার শিক্ষা-দীক্ষা এবং নীতিবোধ গুলিয়ে খেয়ে ফেলেছেন। তিনি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে ভুলে গেছেন। বর্তমান সরকারের সবকিছুই তার কাছে কালো বলে মনে হয়। সব কিছুতেই তার এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ইদানীং তিনি সব কিছুতেই ‘না’ বলছেন। সংলাপে যাবেন না, নির্বাচনে যাবেন না, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবেন না।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির রাজনীতিতে ভদ্রলোক খ্যাত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন একজন পুরোদস্তুর ‘অশিক্ষিত রাজনীতিক’ হিসেবেই সর্বমহলে স্বীকৃতি পেয়েছেন। মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ করবো রাজনীতি থেকে কিছুদিনের বিরতি নিয়ে নিরিবিলি কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। তাহলে হয়তো তার শিক্ষা-দীক্ষার প্রভাব আবারো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ফিরে আসতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
- ক্ষমতা দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি; কলকাঠি নাড়ছে বিএনপি
- পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের শুরু থেকে এ বিষয়ে সমালোচকের অবস্থানে রয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব,তৃণমূলে উচ্ছ্বাস
- বিএনপি নেতা আদিলুর কোন যুক্তিতে মানবাধিকার কর্মী ?