দল পরিচালনা, সাংগঠনিক কার্যক্রম, বন্যার্তদের সহযোগিতা সহ বেশ কিছু বিষয়ে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের উদাসিনতার জন্য চরম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মনোভাব প্রকাশ করেন। গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাক্ষাৎকারী একাধিক নেতা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, সামগ্রিকভাবে দল পরিচালনা নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী নেতাদের প্রতি নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শর্তসাপেক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া। তিনি নিয়মিত দলের খোঁজ খবর রাখছেন।
আরও পড়ুনঃ
- কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে বিএনপিকে চা খাওয়াবেন প্রধানমন্ত্রী
- শুধুমাত্র কি বাংলাদেশে দৈনিক এক ঘন্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হবে?
[বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া]
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আমরা ঈদের দিন সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। ম্যাডাম আমাদের বললেন, ‘দল তো চালাতেই পারছেন না’। তিনি আলাপে জানান, খালেদা জিয়া নিয়মিত পত্রিকা দেখেন। দল ভালো চলতেছে না, তিনি মোটামুটি অখুশি নেতাদের ওপর। উনার অ্যাবসেন্স নিয়ে তিনি খুশি না। বিছানায় বসেই দলের খোঁজ খবর রাখছেন।
তবে আলাপে জমির উদ্দিন সরকার জানান, সৌজন্য সাক্ষাতে নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন গিয়েছিলাম তো, সৌজন্য বিনিময়ই বেশি সময় গেছে। কার্টেসি ভিজিট।’
[বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া]
১০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান গুলশানের ‘ফিরোজা’য় যান। দেড় ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে সেদিন রাত ১০টায় তারা বেরিয়ে আসেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান যুক্তরাষ্ট্র, ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিজ নির্বাচনি এলাকায় থাকায় সাক্ষাতে তারা অনুপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ গত রমজানের ঈদে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন, ‘খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনায় বন্যার্তদের খবর আমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ