বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে বড় বড় কথা বললেও ভেতরে ভেতরে সারেন্ডার করে ফেলেছে। আন্দোলনে পরাজিত দলটি নির্বাচনেও পরাজিত হবে জেনে সরকারি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছে- ‘রাষ্ট্রক্ষমতা নয় ৭০টি আসন পেলেই তারা খুশি’।
আরও পড়ুন : নির্বাচন ও আন্দোলনে পুরোপুরি ব্যর্থ বিএনপি
সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র তিন নেতার সাথে গোপন বৈঠক হয় সরকারি দলের প্রতিনিধিদের। বৈঠকে উপস্থিত সরকারি দলের এক সিনিয়র নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানায়, বিএনপির অভ্যন্তরীণ অবস্থা খুবই শোচনীয়। তারা রাজনীতির মাঠে বড় বড় কথা বললেও তারা স্বীকার করে নিয়েছে দেশ চালানোর যোগ্যতা তাদের নেই।
আরও পড়ুন : বিএনপি এবং তাদের ঐতিহাসিক ব্যর্থ আন্দোলন, বিএনপি কোন আন্দোলনে সাড়া দেয়নি সাধারণ জনগণ
এদিকে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সাথে গোপন বৈঠক করায় দলীয় নেতাদের তোপরে মুখে রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সবাই তাকে ছিঃ ছিঃ করছে। আর বিষয়টি সেনসেটিভ হওয়ায় এখনই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না দলটির হাইকমান্ড। কারণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বিষয়টি জানাজানি হলে তৃণমূল নেতাদের মন ভেঙ্গে যাবে।
আরও পড়ুন : আন্দোলনে আগ্রহ নেই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের,সাড়া নেই জনগণেরও
আর বিষয়টি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলছেন, বিএনপি যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে তা অনেক আগেই প্রমাণ দিয়েছে। এবার দলটির নেতারাই স্বীকার করে নিলেন তাদের দেশ পরিচালনার যোগ্যতা নেই।
[বিএনপির অভ্যন্তরীণ অবস্থা খুবই শোচনীয় : তারা রাজনীতির মাঠে বড় বড় কথা বললেও তারা স্বীকার করে নিয়েছে দেশ চালানোর যোগ্যতা তাদের নেই।]
তাহলে বিএনপি চলমান কর্মসূচি পালন করছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দলটির রাজপথের শক্তি যত ম্লান হচ্ছে ততই দলটির নেতারা মিডিয়ার সামনে হুঙ্কার দিচ্ছে। কারণ বিরোধীদল হিসেবে তাদের অবস্থানটা ধরে রাখার জন্যই তাদের এই কর্মসূচি। এবং তৃণমূলকেও চাঙ্গা রাখতে চায় তারা। যদিও তৃণমূলের বড় একটি অংশই দলের উপর আস্থা হারিয়েছে।
আরও পড়ুন :