পাকিস্তানিরা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় তখন আজকের মানবাধিকার রক্ষক যুক্তরাষ্ট্রই মানবাধিকারের চরম লংঘনে পাকিস্তানকে সহায়তা দেয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা যখন গণহত্যা ও ধর্ষণ করে লাখ লাখ মুক্তিকামী নিরীহ নিরাপরাধ বাঙালিদের যখন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কোথায় ছিল। বরং তাঁদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশে নৃশংসভাবে গণহত্যা ও ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীর যে সকল দেশ নিজস্ব শক্তি নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়, তখনই সেই দেশকে দাবিয়ে রাখতে চায় পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রগুলি।
পৃথিবীর ভৌগলিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, নতুন অর্থনীতির মেরুকরণ হতে চলেছে, যেখানে চীন, ভারত এবং বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য মেরুকরণের সাথে সাথে পরাশক্তির নতুন জোট রাশিয়া, চীন ও ইরান সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাজারে নতুন মার্কেট খুঁজে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে, অন্যদিকে চীন বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে উদীয়মান এবং বিশ্বের বেশীর ভাগ ব্যবসা-বাণিজ্যে চীনের আধিপত্য বিস্তার করছে।এতে যুক্তরাষ্ট্র ইর্ষান্বিত হয়ে রাশিয়া, চীন এবং বাংলাদেশের উপর মানবাধিকারসহ গণতন্ত্রের অজুহাত দিয়ে নতুন অর্থনৈতিক উদীয়মান ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সামনে প্রশ্নবোধক করে তুলতে নতুন রাজনীতির কৌশল অবলম্বন করছে।কিন্তু তাঁদের মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং বিশ্বের দরবারে এখন আত্মমর্যাদা সস্পূন্ন জাতি হিসাবে পরিচিত।
[বিএনপি সাদা হাতিদের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে]
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করেছে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের তাবেদারি না করে, স্বাধীন বাংলাদেশকে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড় করাতে কাজ শুরু করে ছিলেন, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারকে হত্যা করা হয়।বাঙালি জাতি হারায় তাঁর জাতির শ্রেষ্ঠ স্বপ্নপুরুষকে। দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন ভেঙে খন্ডিত হয়, অন্ধকার নেমে আসে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে এবং দেশ শাসনের দায়িত্ব ভার দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পুরানো বন্ধু পাকিস্তানিদের ছত্রছায়ায় লালিত স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে।
আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বিলাস ও অনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উল্লাস
বাংলাদেশ শাসন এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধ নষ্ট করে নতুন প্রজন্মকে ভিন্ন ধারায় পরিচালিত করে ইসলামী গণতন্ত্র নামধারী শাসকরা। তাঁরা তাঁদের নীল নকশা বাস্তবায়ণ করে দীর্ঘ ২১বছর ধরে।যার মাধ্যমে এদেশের একটি বিশাল সংখ্যক জনগণকে সুকৌশলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়, সামরিক ব্যারাক থেকে জন্ম নেওয়া বিত্রনপির প্রতিষ্ঠার মূল হোতা মেজর জিয়াউর রহমান এবং জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ।
[বিএনপি সাদা হাতিদের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে]
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বংলাদেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে। পৃথিবীর মানুষ আজ শেখ হাসিনার কাছে জানতে চায় বাংলাদেশ উন্নয়নের পেছনের গল্প ও পরিকল্পনা। তাঁরা জানতে চায় বাংলাদেশের নারীদের স্বনির্ভরতার কথা।ঠিক সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে প্রশ্নবোধক করে তোলার জন্য নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের খেলায় মেতে উঠেছে। যেখানে তাঁদের মানবধিকার ও বিচার বহির্ভূত হত্যার সংখ্যা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন বিরাজমান, যেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা নিয়ে প্রমাণবিহীন মনগড়া প্রশ্ন তাঁরা কিভাবে করে?
বাংলাদেশে ২০০১ সালে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনাকারী বিএনপি-জামাত জোট। তাঁরা সাদা হাতিদের (বিদেশিদের) উপর নির্ভর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। পাশাপাশি বিএনপি-জামাত জোট যৌথভাবে বিপুল অংকের টাকার চুক্তি করেছে বিদেশি লবিং গ্রুপের সাথে। যাতে করে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশের মাটিতে ম্লান করা যায়।
আরও পড়ুনঃ
- নালিশের ঝুড়ি হাতে অজি রাষ্ট্রদূতের দরবারে ফখরুল | নতুন মিথ্যাচারের অপেক্ষায় জাতি
- নির্বাচন এলেই বিএনপিকে অন্য দল থেকে নেতা ভাড়া করতে হয়
- ক্ষমতা দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি; কলকাঠি নাড়ছে বিএনপি