ব্রিটিশ মিউজিয়াম-এর ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ টিম-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক একদল গবেষকের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ব্রিটেনে বসবাসরত পলাতক দাগী আসামী তারেক রহমান কিছুদিন আগে সিফিলিস সন্দেহে সেন্ট থমাস’স হসপিটালে রক্ত পরীক্ষা করাতে নমুনা দেন। এসময় সেখানে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের রক্তের নমুনা নিয়ে একটি নৃতাত্ত্বিক পরীক্ষা করছিলেন ব্রিটিশ রিসার্চ টিমের গবেষকরা। সংগৃহীত নমুনা থেকে এশিয়ান, ইউরোপিয়ান, মার্কিনসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বংশোদ্ভূত রোগীদের ব্লাড স্যাম্পল আলাদা করে পরীক্ষা করা হয়। সেসময় তারেক রহমানের রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে চমকে ওঠেন গবেষকরা। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের গবেষণাগারে সংরক্ষিত ইতিহাস ও ডিএনএ’র তালিকার সাথে মিলিয়ে দেখে গবেষকরা নিশ্চিত হন তারেক রহমানের বংশলতিকা সম্পর্কে। সেখানে বিশ্বের অনেক দেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়া লোকজনের ডিএনএ’র সাথে তারেক রহমানের ডিএনএ মিলেছে।
তারেক রহমানের পূর্বপুরুষদের মাঝে যারা যারা রয়েছেনঃ
তারেক রহমান → জিয়াউর রহমান → ওসামা বিন লাদেন → গোলাম আযম → হিটলার → আলফ্রেড রেড → মীর জাফর → হালাকু খান → চেঙ্গিস খান → জুডাস → ব্রুটাস → ফেরাউন
আরও পড়ুনঃ অনুসন্ধান: কানাডায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার রাজকীয় জীবন-যাপন
এবার দেখা যাক কীভাবে মিশরীয় ফেরাউনের বংশধররা বাংলাদেশ পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে।
তারেক রহমানের পিতা ছিলেন কুখ্যাত স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। জাতির পিতাকে হত্যা, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, স্বজাতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ অসংখ্য কুকর্মের হোতা ছিলেন এই জিয়াউর রহমান। করুণ মৃত্যু হয় তার। জিয়ার পিতা মনসুর রহমানের আপন ফুপাতো ভাইয়ের মামার শ্যালক ছিলেন রাজাকার শিরোমনি গোলাম আযম। এই গোলাম আযমের বংশের অপর সদস্যরাও কম কুখ্যাত নয়। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে রয়েছেন- কুখ্যাত রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী, রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, রাজাকার মীর কাশেম আলী, রাজাকার আলী আহসান মুজাহিদসহ অসংখ্য রাজাকার, আলবদর, আলশামস যুদ্ধাপরাধী। যাদের সবারই হয়েছে করুণ পরিণতি।
গোলাম আযমের পিতার নাম গোলাম কবির। তার পিতা ছিলেন ইয়েমেনি বংশধর মুহাম্মাদ বিন জাওয়াদের খাস বাঁদী মায়মুনা বিনতে কাসিম এর ১৭তম সন্তান। আবার অন্যদিকে মুহাম্মাদ বিন জাওয়াদের পুত্র মুহাম্মদ বিন আওয়াদের বৈধ স্ত্রীর অন্যতম সন্তান হলেন ওসামা বিন মুহাম্মাদ বিন আওয়াদ বিন লাদেন অর্থাৎ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন। এই জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে করুণভাবে।
[ব্রিটিশ গবেষকদের চাঞ্চল্যকর নথি প্রকাশ: তারেক রহমান হলেন ফেরাউনের সরাসরি বংশধর!]
এই ওসামা বিন লাদেনের পিতা ছিলেন ইয়েমেনি নাগরিক। তাদের স্বজনরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পালিয়ে এসেছিলেন জার্মানি থেকে। সেই বংশের অন্যতম খলনায়ক অ্যাডলফ হিটলার। হিটলারের পিতা অ্যালয়েস ছিলেন সমাজস্বীকৃত অবৈধ সন্তান। হিটলারের ডিএনএ মিলে যায় মুহাম্মাদ বিন জাওয়াদের বংশক্রমের সাথে। গবেষকদের মতে, অস্ট্রিয়ায় কোনো এক শীতে মুহাম্মাদ বিন জাওয়াদের সাথে হিটলারের দাদীর প্রেমের সম্পর্কে অ্যালয়েসের জন্ম হয়। সেই বংশের আরেক কুখ্যাত ব্যক্তি আলফ্রেড রেড। অস্ট্রিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আলফ্রেডের বিশ্বাসঘাতকতার বলি হয় নিজ দেশের ৫ লাখ নাগরিক। গোপনে রাশিয়ার হয়ে ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন তিনি। তারেক ও তার পিতা যেমন পাকিস্থানের খাস এজেন্ট এবং দেশের হাজার হাজার নাগরিককে হত্যার জন্য দায়ী, ঠিক তেমন। হিটলার এবং আলফ্রেড, দুজনই আত্মহত্যা করেছিলেন।
আলফ্রেড রেড-এর পূর্বপুরুষ হলেন ইরানি বংশোদ্ভূত সৈয়দ মীর জাফর আলী খান ওরফে মীর জাফর। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। যার ফলে ভারতবর্ষ কব্জা করে ইংরেজরা। বিশ্বাসঘাতকতা ও হিংস্রতা ছিল মীর জাফরের রক্তে। বেইমান মীর জাফরেরও মৃত্যু হয় করুণভাবে। তার পিতা সৈয়দ আহমেদ নাজাফির পূর্বপুরুষ হলেন কুখ্যাত মঙ্গোল শাসক হালাকু খান। যিনি ১ কোটি মানুষ হত্যার নায়ক। হালাকুর ভাই কুবলাই খানের সরাসরি বংশধর ছিলেন নাজাফি। হালাকু খানের দাদা ছিলেন আরেক কুখ্যাত শাসক চেঙ্গিস খান। যিনি ৪-৫ কোটি মানুষকে হত্যা করেছিলেন। ইরানকে প্রায় মাটির সাথে মিশিয়ে দেন, নারীদের ওপর চালিয়েছেন পাশবিক নির্যাতন। মীর জাফর ও তার পিতা নাজাফির পূর্বপুরুষদের জন্ম এভাবে।
[ব্রিটিশ গবেষকদের চাঞ্চল্যকর নথি প্রকাশ: তারেক রহমান হলেন ফেরাউনের সরাসরি বংশধর!]
গবেষণা বলছে, চেঙ্গিস খানের পূর্বপুরুষদের রক্তেও ছিল বেইমানি, নিষ্ঠুরতা আর কদর্যতা। যার অন্যতম হলেন জুডাস। মাত্র ৩০ রৌপ্যমুদ্রার বিনিময়ে জুডাস যিশুখ্রিস্টকে রোমান সৈন্যদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। ইতিহাসে তিনিও এক ঘৃণিত চরিত্র হাজার বছর ধরে। জুডাসের পূর্বপুরুষ ছিলেন কুখ্যাত চরিত্র ব্রুটাস। রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা তার একান্ত খাস লোক এই ব্রুটাস। মীর জাফর এবং জিয়াউর রহমানের চরিত্রের এক ঐতিহাসিক সন্নিবেশ যেন। মীর জাফর যেমন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বেইমানি করেছিলেন, জিয়া যেমন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার অন্যতম চরিত্র ছিলেন এবং তার প্রাণ বাঁচানো কর্নেল তাহেরকেও হত্যা করেছেন, ব্রুটাসও ছিলেন ঠিক সেরকম এক চরম বেইমান। বংশের ধারা বলে কথা! জুডাস ও ব্রুটাসের মৃত্যুও ছিল করুণ।
ব্রুটাসের পূর্বপুরুষরা এসেছিলেন প্রাচীন মিশর থেকে। অত্যাচারী বাদশাহ ফেরাউনের সরাসরি বংশধর এই ব্রুটাস। ফেরাউনের পরিণতি হয়েছিল নীলনদে ডুবে করুণ মৃত্যু। যার মমিকৃত লাশ সংরক্ষিত আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। গবেষকদের মতে, ফেরাউনের খাস বাঁদীর ঔরসজাত সন্তান তেরাউনের নামানুসারেই জিয়াউর রহমান তার সন্তানের নাম রেখেছেন তারেক। ফেরাউনের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস সম্পর্কে আর কোনো তথ্য পাননি ব্রিটিশ মিউজিয়াম-এর ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ টিমের সদস্যরা। তবে তারেক রহমানের পূর্বপুরুষদের সবার যে করুণ পরিণতি হয়েছিল, তার ভাগ্যও হয়ত এমন পরিণতির অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ