দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকায় চিন্তা শক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দলের দায়িত্বে থাকলেও কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারছেন না। অন্যদিকে ছেলে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিলেও সে পলাতক থাকায় সব দায়িত্ব পড়েছে মির্জা ফখরুলের কাঁধে।
আরও পড়ুন: সরকারের সাথে ফখরুলের গোপন আঁতাত সন্দেহে বিএনপিতে তোলপাড়!
জানা গেছে, মির্জা ফখরুল যেটা চাচ্ছেন, বিএনপিতে সেটাই হচ্ছে। আর এর জন্য খালেদা জিয়াকে কিছু উপহারও পাঠাতে হচ্ছে। গোপন সূত্রের খবর বলছে, বিভাগীয় আটটি শহরে ভিন্ন ভিন্ন দিনে সমাবেশ ঘোষণা করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সমাবেশে রাজি ছিলেন না হাইকমান্ডের অনেকে। তবে বিভিন্ন কৌশলে খালেদা জিয়াকে রাজি করিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
প্রশ্ন হলো- কী সেই কৌশল? ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, অসুস্থ থাকায় খালেদা জিয়ার মদ্য পানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর মদ্যপান করতে না পারায় ছটফট করছেন বেগম জিয়া। তাকে মদ খাওয়ার অনুমতি এবং মদের বোতল উপহার দিয়ে তাই সমাবেশের অনুমতি নিচ্ছেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুকের যৌনলীলার ইতিহাস!
এদিকে কর্মী খুঁজে না পাওয়ায় এসব সমাবেশ করতে রাজি হচ্ছে না বিএনপির হাইকমান্ড। চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশের প্রথম দিনই সেই কোন্দল সামনে এসেছে। চট্টগ্রামে বিএনপির সবচেয়ে ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে কথিত মহাসমাবেশে যাবার আমন্ত্রণও করা হয়নি। এই ‘উপেক্ষার’ কারণে অভিমানী নোমান যাননি সমাবেশে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ভণ্ড বিএনপিতে তিনি আর নেই।
[খালেদা জিয়াকে মদ খাওয়ার অনুমতি এবং মদের বোতল উপহার দিয়ে সমাবেশের অনুমতি নিচ্ছেন ফখরুল,সমাবেশে রাজি ছিলেন না হাইকমান্ডের অনেকে]
অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে মদ খাইয়ে সমাবেশের অনুমতি নেওয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভীকেও দেখা যায়নি চট্টগ্রামে। কেননা তিনি তারেকপন্থী হওয়ায় এই সমাবেশ চাননি। ফলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আর বিভক্তিতে জমে উঠছে না বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচি। মধ্যখান দিয়ে জমে উঠেছে খালেদা জিয়ার মদপার্টি।
আরও পড়ুন: