ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও পদ বাণিজ্যের মাধ্যমেই তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। পরিচয় গোপন করা শর্তে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করা এক সিনিয়র নেতা জানান, সাঈদ এস্কান্দার নামে তারেক রহমানের একজন মামা ছিলেন। তিনি নিজের স্বার্থেই তারেক ও কোকোকে দিয়ে দুর্নীতির গোড়াপত্তন করেন।
তারেক রহমানের বয়স যখন ২০, তখন তার পরামর্শেই ছোটো ভাই কোকো সোনালী ব্যাংকে লঞ্চের জন্য ঋণের আবেদন করেন। পরে ওই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে তারেক, কোকো ও সাঈদ এস্কান্দার মিলে লঞ্চ, গার্মেন্টস ও ডান্ডি ডাইংসহ নামে-বেনামে আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়েন।
[চাঁদাবাজি-ই হচ্ছে তারেক রহমানের আয়ের উৎস!]
২০০১ সালে তারেকের বয়স ছিল ৩৫। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন তারেক সৃষ্টি করলেন ‘হাওয়া ভবন’। সম্পদের পাহাড় গড়া এখান থেকেই শুরু। তারেক ও তার সুযোগ সন্ধানী বন্ধুরা এমন কোনো ব্যবসা নেই যে করেনি। শুধু ‘খাম্বা’ ব্যবসা করেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান তারেকের বন্ধু মামুন।
[চাঁদাবাজি-ই হচ্ছে তারেক রহমানের আয়ের উৎস!]
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তারেকের বাবা জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ১৪ বছর। জিয়া মারা যাওয়ার পর তাদের সংসার শুধু দুই হাজার টাকা বেতনে চলতো, এমন কথা খালেদা জিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন। আর জিয়ার ব্যবহার করা শার্ট-প্যান্ট অল্টার করে দুই ছেলে তারেক ও কোকো পরেছেন, এগুলোও অনেকের জানা। তবে কয়েক বছরেই পাল্টে যায় সেই চিত্র। অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন হাজার কোটি টাকা। প্রায় ১৪বছর ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও নানা কৌশলে এরই মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তারেক।
আরও পড়ুনঃ