প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাত ধরে সামাজিকভাবে প্রকাশ্যে নাশকতা শুরু করে জামায়াত-শিবির।
২০০১ সালে নির্বাচনের পরেরদিন সকাল থেকে বিভিন্ন দলে বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডাররা বিভক্তি হয়ে গ্রামে গ্রামে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছিলো।
আরও পড়ুন : আবারও কর্মসূচি বিএনপির, নির্বাচনের আগে মরণকামড় দিতে মরিয়া সন্ত্রাসবাদী দলটি
২০১৪ সালে বিএনপি বুঝতে পেরেছে তারা আসলে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল এবং নির্বাচনে প্রথম ২৯টি আসন পেয়েছিল। উপনির্বাচনে আরও দুএকটি বেড়ে ৩০টি অতিক্রম করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন তারা বর্জন না, প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। গণতন্ত্রকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেখানে রক্ষিত শিশু-কিশোরদের বই পুড়িয়ে দিয়েছিল। কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে বিএনপি মাত্র ৬টি আসন পেয়েছে।
আরও পড়ুন : কাকে সামনে নিয়ে নির্বাচন করবে বিএনপি ?
২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে বিএনপির এক নতুন চরিত্র দেখে বাংলাদেশের জনগণ। নির্বাচনের দিন সকালে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার পরে এক অদৃশ্য কারণে দুপুর বেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জন করে আসছে বিএনপি।
আরও পড়ুন : জাতীয় নির্বাচন: ইউনূসের অর্থায়নে নাশকতার ছক বিএনপির নেতাদের
তবে সেসব সকল ষড়যন্ত্র-নাটকের দরজা বন্ধ করে দিল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতিতে বলা হয়েছে যে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারে বাধা দেওয়া এবং নানা প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা। এর সব কটি বিষয় ছিল স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি এবং গণতন্ত্রে অবিশ্বাসী বিএনপি সরকারের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে।
[বেকায়দায় বিএনপি! নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোট বর্জনের ষড়যন্ত্রের দরজা একেবারেই বন্ধ]
এখন আর নির্বাচন বর্জন খেলা খেলতে পারবে না বিএনপি। কারণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারাই জড়িত বলে মনে করা হবে তাদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।
এতে বিএনপি এখন খুবই হতাশ। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এমন নীতিকে নিয়ে বড়ই সমস্যায় পড়েছে বিএনপি।
আরও পড়ুন :