যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে তারুণ্যের সমাবেশ করছে বিএনপি। সম্প্রতি বগুড়া ও চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ করেছে দলটি। এরই মধ্যে তারুণ্য সমাবেশ ঘিরে কিছু আপত্তি তুলেছে ছাত্রদল। তরুণদের মধ্যে তরুণী বাড়ানোর দাবি করছে নেতারা। এ জন্য আলাদা বরাদ্দও চেয়েছে তারা।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে নাদিয়া নুসরাতকে নিয়ে বেশ মজা পেয়েছে চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতারা। তার দেখাদেখি অন্যান্য শহরের কর্মসূচিতেও তরুণী বাড়ানোর আবদার চলছে। এতে করে নাকি তরুণদের মধ্যে আন্দোলনের তেজ বাড়বে বলে জানিয়েছে ছাত্রদলের কিছু কেন্দ্রীয় নেতা। তবে আপত্তি তুলেছেন কেউ কেউ। তাদের ভাষ্য, তরুণী আনতে গেলে টাকা খরচ বেশি হয়। কেননা ওদের অল্প টাকা আর একবেলা খাবারে আনা সম্ভব হয় না।
ছাত্রদলের একাংশ চাচ্ছে, বেশি তরুণী এনে সমাবেশকে জমিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে নিজেদের আন্দোলনে শরীরী ভাবটাও গরম করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, তরুণদের গরম করতে অবশ্যই তরুণী লাগবে। কিছু টাকা খরচ করে যদি প্রতিটা সমাবেশে বেশি করে তরুণী আনা যায়, তবে মাঠও গরম হবে, তরুণরাও লাফিয়ে লাফিয়ে আসবে।
[ তারুণ্যের সমাবেশে তরুণী বাড়াতে টাকা চেয়েছে ছাত্রদল ]
এই ইস্যুতে বিএনপির হাইকমান্ডও দ্বিধা বিভক্ত হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তরুণী আনলে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। সবাই উত্যক্ত করবে এবং শ্লীলতাহানিও করবে। এর আগে শামা ওবায়েদের শরীরকেও ছাড় দেয়নি তারা। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অবশ্যই কয়েকবার ভাবতে হবে।
তবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, রাজনীতিতে এগুলো থাকবেই। সারাদিন আন্দোলন করে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে নারীদের সংস্পর্শ প্রয়োজন হয়। যদি মাঠেই এই সুবিধা থাকে, তবে তরুণ-যুবকদের শরীরে তেজ আনা যাবে। তাই বিষয়টা মাথায় নেওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সমাবেশে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন নাদিয়া নুসরাত। যার কারণে পুরো দেশ এখন তাকে চেনে। সেই সঙ্গে তার কিছু ছবি ও ফুটেজও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ছাত্রদলের নারী কর্মীরা বলছেন, নিরাপত্তা না দিলে কোনো কিছুতেই রাজি হবেন না তারা। টাকার সঙ্গে দরকার নিরাপত্তাও। তবে নুসরাতের মতো আমাদের নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ুক তা আমরা চাই না।
আরও পড়ুনঃ