জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন : দেশ যখন একেবারে শান্ত এবং স্থিতিশীল, তখনই নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে বিএনপি
সূত্রমতে, বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। মূলত সর্বশেষ ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া ও দলীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ওই কর্মসূচিতে রাজধানীর আশপাশের মধ্যে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট দলটির হাইকমান্ড। এছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন ও যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি বলেও প্রমাণ পেয়েছে হাইকমান্ড।
বিএনপি সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে সেদিন তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছিল ঢাকার প্রতিটি পয়েন্টে গাড়ি ভাংচুর, আগুন দেওয়াসহ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
ঠিক তেমনি ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তরার বিএনএস ভবনের সামনে থাকার কথা ছিল শ্রাবণের। শ্রাবণকে নির্দেশ দিয়েছিল এলাকাটির কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার, কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। এতে ক্ষুব্ধ হন তারেক রহমান।
দায়িত্ব অবহেলা করার কারণে সব কিছু বিবেচনা করে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[উত্তরার বিএনএস ভবনের সামনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়িত্ব অবহেলার শাস্তি সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি!]
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আবারও বিদেশে পলাতক ও দন্ডিত তারেক রহমানের নির্দেশে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। যেসকল নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে না তাদের অব্যাহতি দিচ্ছে তারেক। বিএনপি চায় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে। এরা ক্ষমতায় আসলে দেশকে নরক বানাবে।
আরও পড়ুন :