সরকার পতনের জন্যই খাম্বানায়ক তারেকের সাথে সুদনায়ক ইউনূসের জোট!

0
189
সরকার

বিএনপির কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না। আবার জ্বালাও-পোড়াওয়ের সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে না, বাস পোড়ালেই ধরা খেয়ে যাচ্ছে কর্মীরা। সরকারের নজরদারি সবদিকেই। পশ্চিমাদের ওপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না, তারা যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেই সায় দিচ্ছেন সবকিছুতে। তাই ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির সরকার হঠানোর আন্দোলনের মাঝে হঠাৎ সুদখোর ইউনূস লাইমলাইটে। একাধিক অনুসন্ধান ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ইউনূস ইস্যু ও বিএনপির আন্দোলন একসূত্রে গাঁথা। ইউনূস বিএনপির সাথে যুগপৎ কাজ করছেন। ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সৃষ্ট আলোচনার মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি। আর পুরো পরিকল্পনাই বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক বিবৃতিতে ইউনূসকে জাতির সূর্য সন্তান দাবি করেছেন। অপর নেতারাও তারেকের নির্দেশে ইউনূসের পক্ষে কাজ করছেন। ইউনূসের সাথে তারেক রহমানের সখ্যতা ছিল না কখনই। বিএনপিও দলীয় স্বার্থে বিতর্কিত সুদ ব্যবসায়ী ইউনূসের সাথে দূরত্ব বজায় রাখত। কিন্তু এখন মামলার কারণে ইউনূস বিপাকে পড়ায় বিএনপির সাথে তার স্বার্থ মিলে গেছে।

উভয়পক্ষই উঠে পড়ে লেগেছে সরকারকে বিদায় করতে। তারেকের মিডিয়া নেটওয়ার্ক এবং ইউনূসের বিদেশিProf Muhammad Yunus also recipient of the US Presidential Medal of Freedom and the Congressional Gold Medal বন্ধু ও অর্থ- সব একাট্টা করা হয়েছে সরকার হঠানোর জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের কারণে ইউনূসের ধান্দাবাজির ব্যবসা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। তারওপর একটি মামলায় হেরে কিছুদিন আগে ১২ কোটি টাকার বেশি বকেয়া কর পরিশোধ করতে হয়েছে তাকে। ফলে বিএনপির সাথে ইউনূসের জোট বাঁধা ছাড়া বিকল্প পথ ছিল না। তারেকই সুযোগ বুঝে তাকে প্রস্তাবটা দেয়।

কর ফাঁকি, অর্থপাচার, শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতিসহ বহু মামলায় ভালো গ্যাঁড়াকলেই পড়েছেন ইউনূস। তাই মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশি বন্ধু আর লবিস্ট ফার্ম ভাড়া করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একরকম যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ইউনূস। এর আগেও গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে যখন তাকে সরানো হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুসারে, তখনও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় তিনি তার বান্ধবী ও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে নালিশ জানান। হিলারি তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে হুমকি-ধমকি দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও শেখ হাসিনার পাল্টা বাউন্সারে হিলারি চুপসে গিয়েছিলেন। এবারও ইউনূস সেই হিলারি এবং তার বন্ধুদের মাধ্যমে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তবে এবারের যুদ্ধে তার সাথে রয়েছে বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমান।

তারেকের প্রেসক্রিপশনে দেশের সুশীল সমাজ, বিএনপিপন্থী মানবাধিকারের দোকানদার সমিতি, খুচরো রাজনৈতিক দলসহ নানারকম সংগঠন একাট্টা হয়ে ইউনূসের পক্ষে জোরদার বক্তব্য দিচ্ছে। এই সংগঠনগুলো মুখে মুখে গরীব মেহনতি মানুষের কথা বলে, অর্থপাচার আর দুর্নীতির কথা বলে। অথচ ইউনূস যে হাজারো শ্রমিকের পাওনা অর্থ না দিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন, সে বিষয়ে তারা নীরব। ইউনূসের পক্ষে যারা কথা বলছেন তারা সবাই চিহ্নিত। এরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করেছিল, এরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির পক্ষে, এদের মধ্যে রাজাকার পরিবারের সন্তান ও গুজব ছড়ানোর দায়ে সাজা খাটা আসামিরাও আছেন। আজ তারা দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গি সর্দার তারেক রহমানের কথায় ইউনূসের পক্ষে নাচছেন।

[সরকার পতনের জন্যই খাম্বানায়ক তারেকের সাথে সুদনায়ক ইউনূসের জোট!]

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপির আন্দোলন দেশি-বিদেশি কোনো পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাদের মিত্র মার্কিনিরাও আগ্রহী নয় এতে। কিন্তু ইউনূস নিজের পরিচিতি ব্যবহার করে লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে যে শতাধিক ব্যক্তির বিবৃতি এনেছেন, তাতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এটা দেখেই বিএনপি আশাবাদী হয়ে উঠেছে। এতেই উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়েছে। একদিকে ইউনূসের মামলা থেকে নিষ্কৃতিরর আশা, অন্যদিকে বিএনপির ক্ষমতায় যাবার পথ তৈরির চেষ্টা। তাই দুইপক্ষই সরকারের পতন দেখতে চায়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারেকের দেশে ফেরা হবে না, ইউনূসও মামলা থেকে রেহাই পাবেন না। সেজন্যই এই জোট গঠন।

যদিও সর্বশেষ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই জোট এবং তাদের অপচেষ্টা কোনো কাজে আসবে না। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শেখ হাসিনার যে ভাবমূর্তি এবং বিশ্বনেতাদের সাথে তাঁর যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে, তাতে বিএনপি-ইউনূস জোটের সব অপচেষ্টা মাঠে মারা যেতে বসেছে।

 

আরও পড়ুনঃ  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here